তাহলে সবার প্রথমে আধ চামচ জিরা নিয়ে নিন তারপর এর মধ্যে এড করুন এক চামচ মধু আর তারপর এটিকে ভাল করে মিক্স করে নিন। ভালো করে মিক্স হয়ে গেলে রোজ সকালে খালি পেটে এই মিশ্রণটিকে সেবন করতে হবে। আর তার পর কিছুক্ষন অপেক্ষা করে এক গ্লাস হাল্কা গরম জল খেয়ে নিন। এর আধা ঘন্টা পরে ব্রেক ফাস্ট করতে পারেন।
একই রকম ভাবে এই পদ্ধতিটিকে টানা এক মাস চালিয়ে যান। এই ভাবে এক মাস চালিয়ে যাবার পর আপনি লক্ষ্য করতে পারবেন যে আপনার শরীর থেকে ফ্যাট খুব তারা তারি ঝরতে শুরু করেছে। আপনি আগের থেকে নিজেকে অনেক বেশি ফিট আর স্লিম অনুভব করবেন।
আপনি চাইলে এই মিশ্রণটি সেবন করার পর কিছুক্ষণ এক্সারসাইজ করে নিতে পারেন। এতে করে আরও তাড়াতাড়ি ভালো ফলাফল পাবেন।
এতো গেলো চর্বি কমানোর টিপসের পদ্ধতি ও প্রয়োগ ও তার ব্যবহার। চলুন আরও কিছু বিষয় জেনে নেই যা আমাদের শরীরের চর্বি কমানোর জন্য অতি প্রয়োজনীয়।
ওজন কমানো টিপস 2 ম পদ্ধতি
• ওজন বা weight loss করতে কি কি খাওয়া উচিত ?
• weight loss বা চর্বি কমাতে কি কি খাওয়া অনুচিত ?
• ফ্যাট হ্রাস করতে কি খাবার বেশি খাওয়া দরকার এবং কোন খাবার পরিমানে কম আহার করা প্রয়োজন ?
• প্রথমে আমরা জানবো ওজন কমাতে কোন কোন খাদ্য দ্রব্য গুলি পরিত্যাগ করতে হবে
• Sugary Food: যেসব খাদ্যে এক্সট্রানল সুগার অর্থাৎ বাইরে থেকে চিনি মেশানো হয়েছে মিষ্টি করার জন্য যেমন কোল্ড ড্রিঙ্কস, কেক, পেস্ট্রি, আইস ক্রিমে প্রভৃতি এরকম খাদ্য দ্রব্যে এক্সটার্নাল সুগার প্রচুর পরিমাণে মিশ্রণ করা হয়ে থাকে। এছাড়াও আমরা যে চা খাই কফি খাই সেখানেও সুগারের মাত্রা কম করে নিতে হবে। কারণ সুগারের মধ্যে থাকে fructose যা আমাদের লিভারে ও পেটে ফ্যাট জমেই যায়। এবং সেই ফ্যাট গুলো আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক এবং শরীরের ওজন বারিয়ে তোলে।
• Carbs Food: এই carbs জাতীয় খাবারের পরিমাণ সামান্য কমিয়ে নিয়ে আসতে হবে। কার্বস জাতীয় খাবার কি ? যেমন রুটি, ভাত এবং আলু। বেশির বেশির ভাগ মানুষই এই কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য রোজই গ্রহণ করে থাকেন। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার আমাদের শরীরের জন্য খুবই জরুরী কিন্তুু এই খাদ্য দ্রব্য গুলো পরিমাণ মতো এবং নিয়ম মেনেই আমাদের গ্রহণ করা উচিৎ।
বেশি মাত্রায় এসব খাবার গুলো গ্রহণ করলে শরীরের যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই কার্বোহাইড্রেট নিয়ে বাকি খাদ্য ফ্যাটে পরিণত হয়ে যায়। যার ফলে শরীরের ওজন ও চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে।
• কোন কোন খাবারের মাত্রা আমাদের বৃদ্ধি করতে হবে যা আমাদের পেশী গঠনে সাহায্য করবে কিন্তুু ফ্যাট জমতে দেবেনা।
• Protein: যে খাবার গুলো ফ্যাট কমানোর জন্য খাওয়া উচিত তার মধ্যে অন্যতম হলো প্রোটিন যুক্ত খাবার গ্রহণ করা। protein জাতীয় খাবার যেগুলি সেগুলো হলো যেমন ডিমের সাদা অংশ, মুরগির মাংসের বুকের অংশ, সোয়াবিন, এবং দুধের মধ্যে প্রোটিন পাওয়া যাবে। মাছের মধ্যেও প্রোটিন রয়েছে। এই সব খাবার গুলো নিয়মিত আপনার আহারে জগ করতে পারেন।
আর যারা নিয়মিত জিম করেন তারা whey protein নিতে পারেন। whey protein এর মধ্যে pure protein থাকে। যদি আপনি জিম বা এক্সারসাইজ করেন তবেই কিন্তু আপনার জন্য whey protein বেশি কার্যকর হবে।
• উষ্ণ গরম জল ও পাতি লেবু: ফ্যাট কমাতে বা weight loss করতে সবচেয়ে সহজ যে উপায় সেটি হলো হাল্কা গরম জল (250ml) এর সাথে লেবুর রস মিশিয়ে সেবন করা। কারণ লেবুর মধ্যে যে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং যেসব নিউট্রিশন গুন রয়েছে সেটা আমাদের বডিকে পিউরিফাই করে ফ্যাট বা চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
• Fiber foods: শরীরের ফ্যাট বা চর্বি কমাতে ফাইবার জাতীয় খাবারের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে করতে হবে। ফাইবার জাতীয় খাবারের মধ্যে প্রথম যেটি সেটি হলো Oats Meal, আর এটি প্রতিটি মুদিখানার দোকানে খুব সহজেই পেয়ে যাবেন। সামান্য Oats Meal নিয়ে দুধের সাথে সিদ্ধ করে খেয়ে নিলে ফ্যাট বা চর্বি কমবে।
এছাড়াও আপেল, কমলা লেবু, বিভিন্ন সাকশব্জিতে ফাইবারের পরিমাণ অধিক পরিমাণে থাকে। এগুলি যদি পরিমিত আহারে যোগ করা যায় তাহলে শরীরের চর্বি বা ফ্যাটের পরিমাণ ঠিক রাখা অনেক সম্ভব হবে। রেগুলার যদি একটু মেনটেন করে চলা যায় তাহলেই কিন্তু শরীরে চর্বি ও ফ্যাটের মাত্রা কমতে শুরু করে দেবে। এবং শরীর সুস্থ্য থাকবে এবং স্ট্রং হয়ে উঠবে আর অনেক হেলদি অনুভব হবে।